বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলো হুয়াওয়ে

টেকআলো প্রতিবেদক:
বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার জন্য নেত্রকোনা জেলার, খালিয়াজুরি উপজেলার ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বন্যাকবলিত মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেন খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার। এ সময় খালিয়াজুরি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নেত্রকোনা জেলা। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছে কলমাকান্দা, দূর্গাপুর ও বারোহট্টা ইউনিয়নের মানুষজন।
অনুষ্ঠানে খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার জনগণের যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ায়। আজকে হুয়াওয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমি তাদের এই কর্মকান্ডে খুবই খুশি হয়েছি কেননা তারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য কাজ করছে এবং তাদের কাছাকাছি আসছে। মানুষের জন্য কাজ করার জন্য হুয়াওয়ের এমন ইচ্ছাকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
খালিয়াজুরি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘খালিয়াজুরির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করার জন্য উপজেলার ইউএনও হিসেবে আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বিতরণকৃত এই ত্রাণ সামগ্রী এলাকার মানুষদের দুঃখ অনেকাংশে লাঘব করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, হুয়াওয়ে নিজেদেরকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল আইসিটি সমাধান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে। বর্তমানে প্রায় ১৭০ এর অধিক দেশে হুয়াওয়ের কার্যক্রম চলছে এবং সেখানে
কাজ করছে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী যারা প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে তিন বিলিয়নেরও অধিক মানুষকে। ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে হুয়াওয়ে এবং এখানে শতকরা ৮০ ভাগ কর্মীদেরকেই স্থানীয়ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের প্রতি হুয়াওয়ের যে সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে, সেই দায়িত্ব হুয়াওয়ে সবসময়ই স্থানীয়ভাবে পালন করে আসছে। এছাড়াও বিগত ২০ বছর ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রযুক্তিগত সুবিধা আনতে বাংলাদেশ সরকার, টেলিকম ক্যারিয়ার এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে।