বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপায় হচ্ছে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা -মোস্তাফা জব্বার

টেকআলো প্রতিবেদক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,বাঙালি জাতি শুধু বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানায় না, কেবল মাত্র জাতিসত্তা নিয়ে গর্ব করে না। গত সাড়ে দশ বছরে এই জাতি প্রমাণ করেছে, বাঙালি পৃথিবীতে নিজেদের শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে অধিষ্ঠিত করবে। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শত্রু এবং তাদের দোসররা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে কারণ বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক এটি তাদের সহ্য হয় না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপায় হচ্ছে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।
মন্ত্রী ২২ আগস্ট ঢাকায় বিসিএসসিএল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল উপলক্ষে আয়োজিত অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিসিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড কেবল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য নয়, বাঙালি জাতিসত্তাকে হত্যা করা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করা। বঙ্গবন্ধুর জীবন, ইতিহাস ও তার ধারাবাহিক বিবর্তন, বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের ইতিহাস রচনা করেছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রৃ হিসেবে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু পরাজিত শক্তির মিত্ররা চায়নি এই অঞ্চলে জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন শোষিতের পক্ষে দাঁড়ালেন, বৈষম্য দূর করার কর্মসূচি হাতে নিলেন, দূর্নীতি দূর করার কর্মসূচি গ্রহণ করলেন এবং বঙ্গবন্ধু যখন তার কঠোরতা দিয়ে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে কর্মসূচি নিলেন তখন পরাজিত শত্রুরা চিন্তা করলো হত্যা করা ছাড়া এটি থামানো যাবে না। একই বিষয়ের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের একুশ আগস্ট আরও ভয়ংকর। ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তৈরির মাধ্যমে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আল্লাহর অশেষ দয়ায় সেদিন নেত্রী প্রাণে বেঁচে যান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। সেই কারণেই একাত্তরের পরাজিত শত্রু এবং তাদের দোসররা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একের পর এক যড়যন্ত্র করে চলেছে। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।