নাসার সংবর্ধনায় আবারো টিম অলিক-কে আমন্ত্রণ

টেকআলো প্রতিবেদক:
সম্প্রতি ২২ জুলাই ২০১৯ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাসার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে টিম অলিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক ড. সোবহানা এস গুপ্তা, এমডি, পিএইচডি; ক্যালি বার্ক, অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার, নাসা; অ্যান্ড্রু ডেনিও, ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিস্ট, নাসা। এসময় নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেন, টিম অলিক আসতে না পারায় তাঁরা খুবই ব্যথিত এবং যেহেতু টিম অলিক এ বছর আসতে পারেনি সেহেতু নাসা থেকে টিম অলিক-কে আগামী বছরের বিজয়ী দলগুলোর সাথে আরো একবার সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে নিজেদের প্রকল্প ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরে টিম অলিক। পাশাপাশি অংশ নেয় অন্য ক্যাটাগরির বিজয়ীদল ফিলিপিন , কানাডা , স্পেন , অস্ট্রেলিয়া এবং আর্জেন্টিনা।
পাশাপাশি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি-র ভিডিও স্পিচ নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, আয়োজক, বিজয়ী দল ও তাদের লিডদের সামনে উপস্থাপন করা হয় ।
ড. সোবহানা এস গুপ্তা, এমডি, পিএইচডি, নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখান কি করে সামনের দিনগুলোতে চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্টগুলো ফান্ড রেইজ ও স্কেলেবিলিটিতে কাজ করবে।

অ্যান্ড্রু ডেনিও, নাসার ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিস্ট, আলোচনা করেন উইনিং টিম’র সদস্যরা কিভাবে ভবিষ্যতে নাসায় চাকরি এবং ইন্টার্নশিপ এ কাজ করতে পারে। তিনি নিজেও প্রাক্তন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিজয়ী বলে উল্লেখ করেন।
ক্যালি বার্ক, অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার, নাসা এর সাথে বাংলাদেশ দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কী করে ভবিষ্যতে রকেট লঞ্চ নিয়ে কাজ করতে পারে, নাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কি করে একযোগে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। তাছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থায় কি করে স্পেস সায়েন্স নিয়ে কাজ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, সরকারি এবং বেসরকারিভাবে এ বিষয়ে আয়োজকদের প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক দিদারুল আলম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কি করে আরো ভালো ও ফলপ্রসূ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক বলেন, বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় গত চার বছর ধরে বাংলাদেশে আয়োজন করে আসছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। প্রকল্প বাছাই, ৩৬ ঘন্টার হ্যাকাথন আয়োজন, ফলাফল প্রেরণ, চূড়ান্ত পর্যায়ের বিচারপর্ব সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। নাসার সাথে আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখন এ প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নাসার সাথে কাজ করার সুযোগ পাবে। সামগ্রিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধিদল, বাংলাদেশে কিভাবে তরুণ উদ্ভাবক, উদ্যেক্তাদের সাহায্য করা হচ্ছে, সরকারি, বেসরকারিভাবে কি কি প্রকল্প চলছে সেটি তুলে ধরেন। পরবর্তীতে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।