তরুণেরাই বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচয় করাবে উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে : পলক

টেকআলো প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী সমাধানে সরকার দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। দেশের মেধাবী তরণেরাই আগামীতে দেশীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে বিশ্বে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিচয় করাবে। রোববার (৪ অক্টোবর) ৬ষ্ঠ বারের মতো তিন দিনব্যাপী (২-৪ অক্টোবর, ২০২০) ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০’ প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা উপলক্ষে বেসিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সরকার উদ্ভাবন ও স্টার্টআপকে উৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যে ১৩০টি স্টার্ট আপকে অর্থায়ন করা হয়েছে। আরও স্টার্টআপকে অর্থায়ন করার জন্য স্টার্টআপ কোম্পানী গঠন করা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ বুয়েটে একটি রোবোটিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণেরা নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তারা আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ছয়টি মূল পুরস্কারের মধ্যে একটি সিলভার ও একটি বেস্ট প্রেটোটাইপ অ্যাওয়ার্ড এবং ১২টি দলই অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার নিরলস শ্রম এবং তারই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের পথ নকশায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় করোনাকালেও কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এমনকি ভার্চুয়ালে আদালত পরিচালনা করে সব কিছুই স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে।

এবারের ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের পার্টনার আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), এলআইসটি প্রকল্প এবং ক্লাউড ক্যাম্প। নাসা আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, যার মধ্যে বেসিস বাংলাদেশের নয়টি শহরে ২-৪ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারি দেশের ৯ জেলার বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের নাম ঘোষণা করেন। দলগুলো হচ্ছে বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ভ্যাকপিকার ও রানার্ আপ ওজোন, চট্টগ্রাম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ওরিয়ন সিক্স ও রানার্ আপ টিম ফোর ফ্রন্টিয়ারস, কুমিল্লা জেলায় চ্যাম্পিয়ন প্রাইম স্পেসএক্স ও রানার আপ টিম ফ্লাশিং রেড, ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন বুয়েট জেনিথ ও রানার আপ এস২১ এআরএসবি/এইচএএম এসওএস সিওএম, খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ফ্লাই হাই ও রানার আপ মহাকাশ, ময়মনসিং জেলায় চ্যাম্পিয়ন লিজেন্ড অফ লেগাসি ও রানার আপ ট্রোজানস, রাজশাহী বিভাগে টীম ইনকগনিশন ও
রানার আপ টীম নোব্বো, রংপুর জেলায় টীম শকওয়েভ ও রানার আপ ও রানার আপ ফ্লিট্যাক্স এবং সিলেট বিভাগের চ্যাম্পিয়ন সিলিকনলিলি। এসব দল এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে বেশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র (ডিএসএ) মহাপরিচালক ও এলআইসিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম।