ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি’র শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ

টেকআলো প্রতিবেদক:
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরির বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেছে। সোমবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে এ ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিআইআইটিতে অধ্যয়নরত ১১৬জন শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন এবং ডিআইআইটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তবে ড. আতিউর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাথা পিছু আয় হবে ৫৭০০ ডলার যা প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ৪০০ ডলার বেশী হবে। আর তা সম্ভব হবে বর্তমান সরকারের গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, প্রযুক্তি আজ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণের উদ্যোগ একটি সাহসী ও সময়োপযোগি পদক্ষেপ। তিনি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার অঅহŸান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম ঘোষনাই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্য পূরনে সরকার সফল হয়েছে। তিনি আরো বলেন এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মেকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী জীবনে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সহজে সমাধান করতে উপযোগী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রাত্যহিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ন বিশেষ করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালিত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. আতিউর রহমান আরো বলেন, জীবন আর শিক্ষা আলাদা হতে পারে না। ডিআইআইটি জীবনের সঙ্গে শিক্ষাকে সংযুক্ত করতে পেরেছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। এখন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যে শিক্ষাটা দরকার সেই শিক্ষাই দিতে চেষ্টা করছে ডিআইআইটি। এই বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ সেই চেষ্টারই অংশ। এসময় তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, ছাত্রদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণের এই ঘটনা রীতিমতো বিরল। বলার অপেক্ষা রাখে ডিআইআইটি দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে বিরাট অবদান রাখছে।
অধ্যাপক ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন অফিসে বসে কিংবা রাস্তার গাড়িতে বসে নিজের বাসার ফ্রিজ, লাইট, ফ্যান ইত্যাদি যন্ত্রপাতি চালু ও বন্ধ করা যাবে। এদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা অসম্ভব মেধাবী। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ বদলে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, প্রযুক্তি আজ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী জীবনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রাত্যহিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ন বিশেষ করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একটি উন্নত স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান প্রজন্মের উচিত নিজেদেরকে প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করা।