“ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে”

টেকআলো প্রতিবেদক:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর পূর্বাণী হোটেলে এটুআই এর উদ্যোগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের “ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব” বিষয়ে চলমান কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ফিলিপাইনের বাংশামারু’র প্রাদেশিক ইন্টরিয়র এন্ড লোকাল গভর্নমেন্ট মিনিষ্টার উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান,ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি টিটন মিএ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনায় রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এই চারটি মূল লক্ষ্য বা পিলারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে আইসিটিখাতে দশ লাখ জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে যা আগামী ৪ বছরে আরও দশ লাখে উন্নীত হবে। তিনি বলেন গত দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ মিলিয়ন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতো না। বর্তমান সরকার-এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। সারা দেশে হাই স্পীড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করা হচ্ছে এতে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌছে যাচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌছেছে। ৬০ মিলিয়ন মানুষকে প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন বিগত ১০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমাদের আরো অনেক শেখার রয়েছে, শিখতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমে দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের দেশসমূহের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফিলিপাইনের প্রাদেশিক মন্ত্রী বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ফিজিক্যাল ট্রানসফর্মেশন ও ইনোভেশনের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেন । তিনি বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটাইজেশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে ফিলিপাইনের বংশামারুতে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে আমরা কাজ করতে চাই।