
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে আসছে বাজেটে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাইছে ই-ক্যাব।এই দাবিসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে ই-কমার্স অ্যায়োসিয়েশনটি। ডিজিটাল কমার্স গেজেট সম্পর্কে আলোচনা এবং জাতীয় বাজেটে ডিজিটাল কমার্স সম্পর্কিত প্রস্তাব বিষয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানান, খাতটির উন্নয়নে থোক থেকে ১ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চান তারা । বিশেষ করে ই-কমার্সের লজিস্টিক ও প্রশিক্ষণে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। ডিজিটাল কমার্স নীতিমালায় ই-কমার্সের যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটিই আসছে বাজেটে নেয়ার দাবি তাদের। গত দু’তিন বছর ই-কমার্স খাতের জন্য কোনো আয়কর ছিল না। আগামী ৫ বছর আয়কর মওকুফ চান তারা। এ খাতে যেন কোনো কর আরোপ না হয়। ওয়ালটন, আড়ংসহ অসংখ্য কোম্পানি যারা এখন অনলাইনে কেনাবেচা করেন। যেখানে কোম্পানিগুলোর অনলাইন প্লাটফর্মে ক্রেডিট কার্ড বা ক্যাশ-অন-ডেলিভারিতে ক্রেতারা কেনাকাটা করেন শুধুমাত্র সেই অংশে যেন কর অব্যাহতি দেয়া হয়। ই-কমার্স খাত গত অর্থবছরে আইটিইএস হিসেবে অন্তর্ভূক্ত ছিল না। এবার বাজেটে খাতটি যেন আইটি ও আইটিইএস হিসেবে রাখা হয় সেই দাবি করছে সংগঠনটি। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ই-কমার্সে ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ প্রশিক্ষণ দিতে চানা তারা।ই-কমার্সের প্রশিক্ষণে ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে করার দাবি। এছাড়া বাড়ি ভাড়া ও ওয়্যার হাউজে কর মওকুফ চাওয়াসহ কিছু দাবির কথা তুলে ধরেন ই-ক্যাবের এই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে নতুন গেজেট হওয়া ডিজিটাল কমার্স নীতিমালাকে স্বাগত জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি শমী কায়সার, যুগ্ম-সম্মাদক নাসিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক অনুসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির উদ্যোক্তারা।