
প্রযুক্তি প্রতিবেদক
দেশে আরো ১১টি উপজেলায় আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক তরুণ বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’ বিষয়ক ওই প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছিল।তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ দেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর বাস্তবায়ন করবে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১২টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন শুরু হয়। এরমধ্যে রাজশাহী ও নাটোরে আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার একনেকে পাশ হওয়া প্রকল্পটি চলতি মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
যে ১১টি উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন হবে, সেগুলো হলো-সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, জয়পুরহাটের কালাই, দিনাজপুর সদর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, কিশোরগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ সদর, চাঁদপুরের মতলব, বান্দরবানের বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ভোলা সদর, কুষ্টিয়া সদর এবং মেহেরপুর সদর।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় এ ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হবে। এ সেন্টারের মাধ্যমে হাজার-হাজার তরুণ-তরুণী প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। এতে করে তারা আত্মনির্ভরশীলও হওয়ার সুযোগ পাবে। দেশের ৬৪ জেলায় আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ এখান থেকে প্রায় ১০ লাখের প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।