আইওটি, বিগডাটা, রোবটিক প্রযুক্তির মহাসড়ক হচ্ছে ফাইভ-জি -ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

টেকআলো প্রতিবেদক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভ -জি প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রযুক্তি না। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মতই শিল্পের জন্য এই প্রযুক্তি অত্যাবশ্যক। ফাইভ – জি প্রযুক্তি হচ্ছে আইওটি, বিগডাটা, রোবটিক প্রযুক্তির মহাসড়ক। ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রযুক্তির এই মহাসড়ক উন্মোক্ত করবে। এরই মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা কাটি প্রযুক্তি দুনিয়ার সাথে বাংলাদেশ সমান্তরালে চলার যোগ্যতায় উপনীত হবে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে ৩৩তম সিএসিসিআই সম্মেলনে টেকনোলজিস ট্রান্সফরর্মিং ইকনোমিকস শীর্ষক প্লেনারি সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় ৫জির সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংযোগ ঘটানো হয়েছে। ৫জি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যে সব দেশে মানুষ নাই, যন্ত্র এবং প্রযুক্তি সেই সব শুন্যতা পূরণ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশের জন্য ৫জি কী হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রযুক্তি দুনিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত। চালকবিহীন গাড়ী প্রযুক্তি জাপানিদের জন্য আনন্দের। কিন্তু আমাদের জন্য তা মোটেও সুখের নয়। বিদেশে আমাদের হাজার হাজার চালক কর্মচ্যূত হওয়া আমাদের কাম্য নয়। তিনি বলেন, তিনিটি শিল্প বিপ্লব আমরা অতীতে মিস করেছি, এবার আমরা মিস করতে পারি না। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রযুক্তিকে আমরা আমাদের প্রয়োজনে, আমাদের জন্য, আমাদের মত করে ব্যবহার করব। ৫জি হচ্ছে একটি শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক। যথা সময়ে আমরা এই মহাসড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে শতশত বছর পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ গত পৌনে এগার বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্বদানকারি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। মন্ত্রী প্রযুক্তি নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ডাটা নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি এক্টের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
সিএসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার মেক মুলিন এর সঞ্চালনায় হাঙগরিনাকি ডট কমের সিইও আহমেদ এডি, মীর টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর নাসির হোসাইন, সিআইইসি এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরুশী মাসুমুরা এবং সেন্টার ফর গ্রীন ইকনোমি এর রিসার্স ফেলো ড. লিনচুয়ান বক্তৃতা করেন।